প্রতিটা মানুষেরই কিছু না কিছু শখ থাকে। কেউ সাজতে ভালোবাসেন, কেউ গাইতে, কেউ গ’ল্প করতে। তবে প্রতি শুক্রবার নববধূ হওয়ার এমন শখ হয়তো শো’না গিয়েছে বলে মনে হয় না। সপ্তাহের ওই এক দিনই পাকিস্তা’নের চার সন্তানের জননীর এই অ’দ্ভুত শখে হতবা’ক পড়শিরাও।
৪২ বছর বয়সী এই নারীর নাম হীরা জিশান। তিনি পাকিস্তানের প’ঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। এই নারী প্রতি শুক্রবার নববধূর বেশে সাজেন। পড়শিরাও তার এই আজব শখ নিয়ে নানা রকম আ’লোচনাও করেন। তবে কেন এই অ’দ্ভুত শখ হীরা জিশান? এর পিছনে এক করুণ কাহিনিও আছে।
দিনটি ছিল ২০০৫ সাল, তখন হীরা জিশানের মা হ’ঠাৎ খুব অ’সুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়েকে নিয়ে তার চি’ন্তার অ’ন্ত ছিল না। শারী’রিক অবস্থার অবন’তি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি ক’রান। হীরার মায়ের ইচ্ছে ছিল মৃ’ত্যুর আগে মেয়েকে নববধূর বেশে দেখে যাবেন। হাসপাতালেরই এক কর্মী হীরার মাকে র’ক্ত দিয়েছিলেন। মায়ের ইচ্ছে মতো সেই কর্মীকেই বিয়ে করেন হীরা।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে খুব সাধারণ সাজেই বিয়ে হয়েছিল এবং এক কাপ’ড়েই। আর চার-পাঁচটি বিয়ের মতো ধুমধাম করে নয়।’ বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই হীরার মায়ের মৃ’ত্যু হয়। মাকে হারিয়ে একেবারে ভে’ঙে পড়েছিলেন হীরা। এখানেই শেষ নয়। তার জন্য আরো চরম পরি’স্থিতি যেন অপে’ক্ষা করছিল। পরবর্তী কয়েক বছরে ছয় সন্তানের মধ্যে দুই সন্তানকে হা’রিয়ে শো’কে বিহ্বল হয়ে পড়েন। অবসাদ গ্রাস করে তাকে।
এই অবসাদ থেকে নিজেকে বার করে আনার জন্য’ই প্রতি শুক্রবার নববধূর বেশে নিজেকে সাজান। হীরার স্বামী লন্ডনে থাকেন। তার কথায়, একাকিত্ব থেকে নিজেকে বার করে আনতে, অবসা’দ থেকে নিজেকে মু’ক্ত করতে, নিজেকে আনন্দ দিতেই এই ভাবে সাজেন। ১৬ বছর ধরে হীরা এ ভাবেই সেজে আসছেন প্রতি সপ্তাহে। সূত্র: আনন্দবাজার।