বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘কাতারের সাথে বিদ্যমান এলএনজি বি’ক্রয় ও ক্রয় চু’ক্তি (এসপিএ)’র ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আরও বেশি এলএনজি আমদানি করতে আগ্রহী। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে বার্ষিক অতিরি’ক্ত ১ মিলিয়ন টন এলএনজি কাতার হতে নিতে চাই। যা একটি সাইড লেটার চু’ক্তির মাধ্যমে কার্যকর করা যেতে পারে।’
মঙ্গলবার (১ মার্চ) কাতারের দোহায় হোটেল শেরাটনে কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ শেরিদা আল কাবিরের সঙ্গে দ্বিপা’ক্ষিক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপা’ক্ষিক সম্প’র্কের কারণে কাতার বাংলাদেশি অভিবাসীদের একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়েছে এবং বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে পরিণত হয়েছে।’ এসময় তিনি জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরো’ধ জানান।
২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি কাতরের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝো’তা স্মারকের আলোকে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বার্ষিক ১.৮-২.৫ মিলিয়ন টন পরিমাণ এলএনজি সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদী এলএনজি সেলস এন্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এসপিএ) স্বাক্ষর হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৭ কার্গোতে ৮.৪২৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি ক্র’য় করেছে পেট্রোবাংলা। সাইড লেটার চু’ক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বার্ষিক অতিরিক্ত ১ মিলিয়ন টন এলএনজি (MTPA) কাতার হতে আমদানি করতে চায়।
কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ শেরিদা আল কাবির বাংলাদেশের প্রস্তাব আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং কাতার গ্যাস ও কাতার এনার্জিকে পেট্রোবাংলার সাথে বসে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। আগামীকাল বুধবার (২ মার্চ) এ আলোচনা কাতারে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কাতারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ শেরিদা আল কাবির এবং বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে কাতার গ্যাসের সিইও শেখ খালিদ বিন খলিফা আল-থানি, কাতার এনার্জির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) জসিম আল-মারজুকি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।