জাহাজে থাকা সবাই আজ দেশে ফিরছে। যে যার মা-বাবার কোলে ফিরে গেছে। কিন্ত আমার বাবাই ফিরল না। আমার বাবা একাই পইড়া রইল বিদেশের ফ্রিজে। সরকার পারল না বাবার লা’শটা আইনা দিতে। কা’ন্নাজড়িত কণ্ঠে আক্ষে’প আর বুকভরা আর্ত’নাদ নিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ইউক্রেনে রকেট হাম’লায় নি’হত বাংলাদেশি প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মা আমেনা বেগম।
হাদিসুর রহমান আরিফের মা আমেনা বেগম আরও বলেন, সরকার যদি আগেই সবাইরে (ইউক্রেনে আট’কে পড়া ক্রু) ফিরাইয়া আনত, তাহলে আমার বাপটারে ম’রা লাগত না। ক’ষ্টে বুকটা ফাই’ট্টা যাইতাছে, সরকার কি এসব দেখে না! আমি আমার পোলার লা’শটা চাই!
হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, আমরা জানতাম আজ জীবিত নাবিকদের সঙ্গে ভাইয়ার লা’শটাও দেশে আসবে। আমরা এয়ারপোর্টে অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ভাইয়ার লা’শটা আসল না। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। কেউ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিচ্ছে না। আমরা ভাইয়ার লা’শ চাই।