
কাতারে একটি প্রাইভেট স্কুলে ১২ বছরের এক কাতারি শিক্ষার্থীকে মা’রধরের অভিযো’গে তুলকালাম কান্ড ঘটে গেছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত হওয়ার পর প্রকৃত সত্য বেরিয়ে এসেছে।
২১ মার্চ সোমবার কাতারি ছাত্রটির অভিভাবক অভি’যোগ করেন, তাঁর সন্তানকে চরমভাবে মে’রেছেন স্কুলটির একজন শিক্ষক। এতে তাঁর সন্তানের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘা’ত লেগেছে। আঘা’তের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন তিনি।
অভিযোগের পরপরই ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে আট’ক করা হয়। এর আগে স্কুল থেকে ফোন করার অ্যাম্বুলেন্স চলে আসে এবং ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে বাসায় পাঠানো হয়।
কাতার শিক্ষা মন্ত্রণালয় তখন এক বিবৃতিতে জানায়, ঘটনাটি তদন্ত করে দো’ষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক মাধ্যম টুইটারে। শিক্ষকের বিচার দাবি করে পোস্ট করেন অনেক কাতারি। এরপর ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে কাতার শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কয়েকদিনের তদন্ত শেষে কাতার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪ মার্চ জানায়, এই ঘটনায় শিক্ষকের কোনো দোষ নেই, তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই এই ঘটনায়। বরং প্রকৃত সত্য হলো, ওই কাতারি ছাত্রটি তাঁর জুনিয়র ক্লাসের ছাত্রদের সাথে মা’রামা’রির ঘটনায় আহত হয়েছিল। স্কুলের সব সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্য সাক্ষীদের বক্তব্য থেকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
ক্যামেরায় দেখা গেছে, কাতারি ছাত্র তাঁর জুনিয়র ছাত্রদের খেলার জায়গায় গিয়ে জোর করে বল নিয়ে আসতে চেয়েছিল। তখন সেখানে জুনিয়রদের সাথে তাঁর হাতাহাতি হয় এবং সে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় ওই শিক্ষক আরও কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে সেখানে আসেন এবং ছাত্রদের মা’রামা’রি বন্ধ করেন।
কাতারি ছাত্রটিকে সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয় এবং এরপর সে তার অভিভাবককে ফোন করে। কাতার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে উল্লেখ করে, যে কোনো ঘটনায় বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট তথ্য না জেনে বিভ্রান্তি ছড়ানো উচিত নয়। বরং সুষ্ঠু তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করাও ঠিক নয়।
ওই ঘটনার পরপর যারা অভিযোগকারী ছাত্রের পক্ষে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করছিলেন, তাদেরকে এখন লজ্জায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে তাদের সমালোচনা করে বলছেন, আসল সত্য না জেনে কোনো ঘটনা নিয়ে তোলপাড় তোলা কখনো ঠিক না।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.