বিবাহিত পু’লিশ সদস্য প্রে’মের ফাঁ’দে ফেলে স’ম্পর্কে জ’ড়িয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে। এরপর বিয়ের প্রলো’ভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধ’র্ষণ করেন। এতে সেই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। দু’মাস আগে তরুণীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে জানতে পারেন তিনি ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি ওই পু’লিশ সদস্যকে জানালে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
একপর্যায়ে ওই তরুণী বিষয়টি পু’লিশ সদস্যর স্ত্রী’কে জানান। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) কী’র্তনখোলার তীরে বধ্যভূমি এলাকায় অ’ভিযু’ক্ত ওই যুবক অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে আ’ট’ক করেন ওই তরুণী। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী’। অ’ভিযু’ক্ত পুলিশ সদস্যের নাম কাওছার আহম্মেদ (২৩)। তার বাড়ি বরগুনা জে’লার আমড়াঝুড়ি গ্রামে। বরিশাল বিভাগীয় পু’লিশ হাসপাতা’লে কনস্টেবল হিসেবে কর্ম’রত আছেন তিনি।
মা’মলায় তরুণীর অ’ভিযোগ, পু’লিশ সদস্য কাওছার আহম্মেদ গত জানুয়ারি মাসে স্ত্রী’ ও এক সন্তান নিয়ে বরিশালে আসেন। নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ আলেকান্দা বুকভিলা গলিতে তার (বাদী) পিতার বাসার দোতলায় ভাড়া ওঠেন। এই সূত্র ধরে ওই তরুণীর সাথে তার পরিচয়। এরপর কাওছার আহম্মেদ তার এক ব্যাচ’মেট পু’লিশ সদস্যের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে তরুণীর সঙ্গে সখ্যতা বাড়ান। তবে পর্যায়ক্রমে দুজনের মধ্যে প্রে’মের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলো’ভন দেখিয়ে কাওছার নিজেই ওই তরুণীকে ধ’র্ষণ করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, দুপুরের দিকে গেঞ্জি পরিহিত (কাওছার) যুবককে দুই নারী ও একজন পু’লিশ সদস্য (সাদা পোশাকে) এসে ধরে ফেলেন। তখন আ’ট’ক ব্যক্তি নিজেকে পু’লিশ সদস্য পরিচয় দেন। এ নিয়ে জটলা হয়। শেষে আর্মড পু’লিশ ব্যাটালিয়ানের এক সদস্য যুবকের হাতে পরানো হ্যান্ডকা’ফ খুলে দিতে বলেন।
হ্যান্ডকাফ খুলে দিলে দুই নারী ওই যুবককে ধরে রাখেন। তবে তাদের হাত ফসকে দৌড়ে গিয়ে নদীতে ঝাঁ’প দেন যুবক। ট্রলার যোগে সেখান থেকে উ’দ্ধার করে কোতয়ালী থা’না পু’লিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থা’নার ওসি আজিমুল করিম জানান, ধ’র্ষণের অ’ভিযোগে গ্রে’প্তার পু’লিশ সদস্য কাওছার আহম্মেদকে আইনি প্রক্রিয়ায় আ’দালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া মা’মলার বাদীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।