মেট্রোরেলে র্যাপিড পাস সম্পর্কিত সকল তথ্য এখানে দেওয়া হয়েছে। আপনার পছন্দমত প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারবেন এখান থেকে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
**MRT PASS কী?
MRT Pass হলো Near-Field Communication (NFC) প্রযুক্তিভিত্তিক একটি সংযোগবিহীন স্মার্ট আইসি কার্ড। যা দিয়ে ঝামেলাবিহীন অতিসহজে মেট্রোরেলের (ভবিষ্যতে বাস, লঞ্চ, মেট্রোরেল কর্তৃক পরিচালিত শপিংমলের বিল) ভাড়া পরিশোধ করা যায়।
**MRT PASS কীভাবে ক্রয় করতে হয়?
নিম্নোক্ত তথ্য নিয়ে MRT Pass সকাল ৭.৩০ থেকে দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত মেট্রোরেলের যেকোন স্টেশনের Excess Fare Office (Customer Service Centre) থেকে নিবন্ধন করে ক্রয় করা যাবে।
MRT Pass করতে যে যে তথ্য লাগবেঃ
১) প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে নির্ধারিত MRT Pass-এর রেজিস্ট্রেশন ফর্ম। (রেজিস্ট্রেশন ফর্ম স্টেশন থেকে ফ্রিতে পাওয়া যাবে অথবা মেট্রোরেলের ওয়েবসাইট হতে MRT Pass Registration Form ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।)
২) জাতীয় পরিচয় পত্র বা তার ফটোকপি।
৩) নগদ ৫০০ টাকা। (২০০ টাকা কার্ড বাবদ ডিপোজিট এবং ৩০০ টাকা কার্ডে রিচার্জ করা থাকবে।)
মনে রাখবেন সঠিক তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলে কার্ড রিফান্ড, ক্ষতিগ্রস্থ কার্ড পুনঃপ্রদান, হারানো কার্ড পুনঃপ্রদান, হারানো কার্ড ফেরত এবং হারানো কার্ডের রিচার্জ করা টাকা ফেরত পাওয়া যায়। (একটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে সর্বোচ্চ ২/৩ মিনিট প্রয়োজন হয়।)
**MRT PASS কীভাবে ব্যবহার করতে হয়?
স্টেশনের পেইড জোনে বা ভিতরে প্রবেশের জন্য AFC গেইটের (Passenger Gate) নির্ধারিত স্থানে আপনার MRT Pass কার্ডটি শো করুন বা ট্যাপ করুন। (MRT Pass কার্ডে NFC পদ্ধতি ব্যবহৃত হওয়ায় AFC গেইটের নির্ধারিত স্থানের ১০ সে.মি এর মধ্যে কার্ডটি আনলেই মেশিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা রিড করতে সক্ষম। তাই কার্ডটি নির্ধারিত স্থানে ঘষাঘষি করা বা জোরে ট্যাপ করার প্রয়োজন নেয়)। ভ্রমণ শেষে বাহির হওয়ার সময় একই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
**MRT PASS এর ব্যবহারে কী কী সুবিধা আছে?
১) প্রতি ভ্রমণে ১০% ভাড়া ছাড় পাওয়া যায়।
২) ভ্রমণ বা গ্রাহক সেবা পেতে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
৩) কার্ড হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে রিইস্যু করা যায়।
৪) MRT Pass-এ সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা রিচার্জ করা যায়।
৫) কার্ডের টাকার মেয়াদ ১০ বছর। তবে কার্ডের মেয়াদ আজীবন।
৬) ভবিষ্যতে MRT Pass দিয়ে বাস, লঞ্চ, মেট্রোরেল কর্তৃক পরিচালিত শপিংমলের বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
৭) প্রতিটি স্টেশনে কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার/ EFO থেকে তৎক্ষণাৎ গ্রাহক সেবা পাওয়া যায়।
**মেট্রোরেল র্যাপিড পাস (MRT Rapid PASS) ব্যবহারে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
১) MRT Pass-টি Passenger Gate-এ Entry করার সময় ভালো করে খেয়াল করে দেখে নিবেন আপনার কার্ডটি এন্ট্রি হয়েছে কি না। যদি এন্ট্রি না হয়ে থাকে তাহলে সে কার্ড দিয়ে বাহির হওয়ার Gate-এ Exit হতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে মন্যুয়েলি EFO-তে ভাড়া পরিশোধ করে সুইং গেইট দিয়ে বাহির হতে হবে। এক্ষেত্রে ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত হবে গত কয়েকদিনের ভ্রমণের উপর ভিত্তি করে।
২) MRT Pass-টি Passenger Gate-এ Exit করার সময় ভালো করে খেয়াল করে দেখে নিবেন আপনার কার্ডটি Exit হয়েছে কি না। যদি Exit না হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তী দিন Exit না করে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে পরবর্তী দিনে Exit করালে জরিমানা ৬০ টাকাসহ ভাড়া কর্তন হবে। তাই MRT Pass ব্যবহারকারীদের কাছে অনুরোধ Entry/Exit-এর সময় ৩/৪ সেকেন্ড ধৈর্য ধরে Passenger Gate-এ ভালো করে দেখে আপনার কার্ডটি Entry/Exit করে নিবেন।
৩) কার্ডটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবেন যেন ভেঙ্গে বা হারিয়ে না যায়। কারন ভেঙ্গে গেলে ২০০ টাকা এবং হারিয়ে গেলে ৪০০ টাকা দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে। তবে হারানো কার্ড খুঁজে পেলে তা জমা দিয়ে উক্ত কার্ড বাবদ জামানতের ২০০ টাকা ফেরত নিতে পারবেন।