এসি রুমে কেন অ’গ্নিকাণ্ডে মানুষ মা’রা যাচ্ছে,আসুন জেনে নেই

গরম অনেক বাড়ছে, এবং অনেকেই এসি কিনছেন খুব একটা চিন্তা না করেই। ইনভারটার শব্দটি দেখলেই লাফিয়ে পড়ছেন। তবে কষ্ট করে হলেও একটু দেখবেন যে কুল্যান্ট যেইটা ব্যাবহার হচ্ছে, সেইটার নাম R22 নাকি R410a নাকি R32
একটু উদ্ভট শুনালেও, এইটা বেশ ইম্পরট্যান্ট।
২০২০ সালের পর (মানে কয়েক মাস পরেই) মূলত R22 গ্যাসটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে। কারণ এইটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এবং ওজন লেয়ারের অনেক ক্ষতি করে।
কারণ বাজার সয়লাব আরও খারাপ কুল্যান্ট দিয়ে বানানো এসিতে, যেগুলো ফ্লেমেবল (আ’গুন ধরে)। উত্তরায় আস্ত এক ফ্যামিলি এসি ব্লাস্ট হয়ে আ’গুনে পুড়ে গেল না? সেইটা হয়েছিল কারণ এসির মধ্যে আ’গুন ধরে এমন কুল্যান্ট ছিল।
কমদামী কুল্যান্ট এর মধ্যে আ’গুন ধরে। সহজ হিসাব। আজকে না ধরলে কালকে ধরবে। ধরবেই। মাফ নাই। স্টেডিয়াম মার্কেটে ব্রান্ড এর সিল মারা এসি গুলোতে মূলত এই ধরনের গ্যাস ব্যাবহার করা হয়।
R22 তে আগুন কম ধরে। কিন্তু তবুও আপনি কেন R22 থেকে দূরে থাকবেন? কারণ তিন চার বছর পর এই গ্যাসটির প্রডাকশন অনেক আংশেই কমে যাবে (অলরেডি যাচ্ছে, এবং উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া যায়না)। তো যেইটা হবে, তা হচ্ছে যে আপনি কয়েক বছর পর এসি নষ্ট হলে ঠিক করতে যেয়ে অসুবিধায় পড়ে যাবেন।
বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন অনেকগুলো এসিতেই কুল্যান্ট হিসেবে R22 ব্যাবহার হয়। থাইল্যান্ড এর জেনারেল, গ্রি, মিনিস্টার, ওয়াল্টন, চিগো, মিডিয়া, ইত্যাদি ব্র্যান্ডের অনেকগুলোর মধ্যেই R22 ব্যাবহার হয়।
তো কি কিনবেন? R410A/R32 কিনবেন। এটাতে আগুন ধরেনা। ওজন ডিপ্লিট করেনা। যদিও গ্লোবাল ওয়ার্মিং এইটা ব্যাবহারেও হয়, তবুও এইটা খারাপের ভাল।কিন্তু R32, R410A এর থেকেও ভালো। এটাতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও কম আবার কম ফ্লেমেবল। এখন বেশিরভাগ এসি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই R32 এর দিকে ঝুঁকছে।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন
কালেক্টেড, গুগল থেকে সচেতনতামূলকপোস্ট

More News in this Category

Leave a Reply